১ জুলাই ২০২৫
![]() |
ফেসবুক ছবি |
ফুচকা, যা ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানিপুরি, গুপচুপ বা গোলগাপ্পা নামেও পরিচিত, একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। বাংলাদেশেও এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে এই মুখরোচক খাবারটির স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি এর স্বাস্থ্যগত দিকগুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ভালো দিক
1. রুচি বৃদ্ধি: ফুচকার টক ও ঝাল স্বাদ খাওয়ার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
2. হজমে সহায়ক উপাদান: ফুচকার পানিতে ব্যবহৃত তেঁতুল, ধনেপাতা, বিট লবণ ইত্যাদি হজমে সহায়ক। তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
3. সামাজিকতা বৃদ্ধি: বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে ফুচকা খাওয়া সামাজিক সম্পর্ককে মজবুত করে।
4. সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য: ফুচকা একটি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য খাবার, যা রাস্তায় সহজেই পাওয়া যায়।
5. পুষ্টিকর উপাদান: ফুচকার পুরে ব্যবহৃত ছোলা, আলু, ডিম ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে।
![]() |
ফেসবুক ছবি |
খারাপ দিক
1. স্বাস্থ্যঝুঁকি: অপরিষ্কার পানি বা উপকরণ ব্যবহারে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস A ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি থাকে।
2. উচ্চ রক্তচাপ: ফুচকার পানিতে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
3. ওজন বৃদ্ধি: ফুচকায় ব্যবহৃত আলু ও ডিম ক্যালোরি সমৃদ্ধ, যা অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়াতে পারে।
4. পেটের সমস্যা: অতিরিক্ত ঝাল ও টক উপাদান পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: অপরিষ্কার পরিবেশে তৈরি ফুচকা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
সতর্কতা ও পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন: ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।
- অতিরিক্ত খাওয়া পরিহার করুন: অতিরিক্ত ফুচকা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ঘরে তৈরি করুন: সম্ভব হলে ঘরে ফুচকা তৈরি করুন, যাতে উপকরণের গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়।
- স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে পরামর্শ নিন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা হজমজনিত সমস্যা থাকলে ফুচকা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
![]() |
ফেসবুক ছবি |